রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ রুবেল হোসেন: সাভারের কাউন্দিয়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ি বাবুল ওরফে হাত কাটা বাবুল বাহিনীর হামলার স্বীকারের অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ২৮/০২/২৪ইং তারিখ বিকালে বাবুল বাহিনীরকে অবৈধ মাদক এবং কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শাপলা রোডে পরকাশে মাদক বিক্রি করতে ডলি ও তার স্বামী বাধা দিলে বাবুল শাহ আলম, বাবুলের স্ত্রী এবং বাবুলের ছেলেসহ কয়েকজন মিলে ডলির পরিবাব্রের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে ডলির স্বামী দিলুর মাথা ফেটে যায়, ডলিএ শাশুড়ির পা ভেঙে যায় এবং ননদের গালে কামড় দিয়ে কেটে ফেলে। এ হামলায় আহতদের চিকিৎসা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা হয়। এ হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের সূত্র তদন্ত করতে কাউন্দিয়ার ফাঁড়ির এসআই সেলিম বাড়িতে এসে ঘটনার বিস্তারিত জেনে চলে যান। এ ঘটনার ঘটার কয়েকদিন হলে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি ফাঁড়ি এবং সাভার মডেল থানার পুলিশ।
আহতরা ঘটনার ঘটার পরের দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আফাজ মেম্বারসহ দুপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ৫০০০ টাকা চিকিৎসাবাবদ খরচ হিসেবে দিয়ে বাবুল দ্রুত চলে যান। এই বিচারকে ডলি মেনে নেননি। কারন বাবুল বাহিনী কয়েক বছর যাবত শাপলা রোডের ডলির বাড়ির সামনে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এই মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য ডলি কয়েকবারই বাবুল বাহিনীকে বাধা দেন যার ফলে বাবুল বাহিনী ডলির পরিবারকে মারধর করেছে এবং বিভিন্ন হয়রানি স্বীকারও হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এই যে, বাবুল বাহিনী ডলির বাড়ি দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদি বাড়ি না ছেড়ে দেয় তাহলে তাদের পরিবারের প্রাণহানী ঘটতে পারে এমন হুমকি দেন বাবুল ও তার ছেলেরা। জানা যায়, বাবুল বাহিনীর বাবুল এক সময় আগারগাও- এ থাকতেন। সেখানে চুরি ছিন্তাইসহ নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত হন। তার নামে মাদক ব্যবসাসহ আরো অনেক অপকর্মের মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানাতে। আর জানা যায় যে, বাবুলের গাজার ডিলার আশেপাশেই থাকেন। তার নাম ওয়াসিম, সে সিলেট থেকে বিপুল পরিমাণ গাজা সরবারাহ করে সাভার কাউন্দিয়া, মিরপুর মাজার, কবরস্থানসহ এর আশেপাশে সকলস্থানে গাজা পাইকারি একনাগারে বিক্রি করে যাচ্ছে। বাবুল বলে, থানা, পুলিশ, মেম্বার, চেয়ারম্যান সবাই জানে আমার এই ব্যবসা সম্পর্কে। আমি সবাইকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা করি। যেখানে বিচার দেও না কেনো কোনো লাভ হবে না।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাভার আওতাধীন কাউন্দিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আলামিন জানা, তিনি শাপলা রোডের গলিতে এখন পর্যন্ত যাননি এবং মাদক ব্যবসায়ী বাবুল্কে তিনি চিনেনই না। তবে, কেউ যদি বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাহলে তিনি আইনগত সকল ব্যবস্থাই নিবেন। স্থানীয় মেম্বার বলেন, বাবুলের দুই হাত নেই যার জন্য বাবুল টুকটাক গাজা বিক্রি করে এবং কয়েকবার ধরা খেয়ে জেলেও গিয়েছে।
পরিশেষে, ডলির পরিবারের দাবি একটাই, এই বাহিনী যাতে কোনো প্রকার মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে না পারে সেজন্য সরকার এবং প্রশাসন যেনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। বিস্তারিত আসছে, চোখ রাখুন আগামী পর্বে…